
মাটির ময়না থেকে ইতি তোমারই ঢাকা- পুরস্কারের শিকে না ছিঁড়লেও, অস্কারে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করেছে বরাবরই। গত ১৯ বছরে মোট ১৬টি সিনেমা অস্কারে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এদের মধ্যে দুটি ছাড়া বাকি সবগুলো সিনেমাই...
বিশ্বজুড়ে না হোক, বিশ্বসিনেমা পাড়ায় আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও, দীর্ঘসময় ধরে ভালো সিনেমা আর সিনেমার ভালো তুলে ধরার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমী অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর কথা কম-বেশি সবাই জানেন। কিছু কিছু মানুষের আছেন যাদের কাছে অস্কারই যেন সিনেমার শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ মাপকাঠি। তর্কাতীত ভাবে সর্বোচ্চ না হলেও এই কথা সত্য যে, বিশ্বজুড়ে সিনেমাপাগল মানুষের চেষ্টাকে দীর্ঘ সময় ধরে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে এই অস্কার এবং প্রতিবছরই আমেরিকান পুরষ্কারের তকমা থেকে বের হয়ে বিশ্বজনীন হওয়ার একটা প্রচেষ্টা তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বলবৎ আছে- সেটি সিনেমা নির্বাচনের বিষয়বস্তু থেকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী কে অন্তর্ভুক্ত করা পর্যন্ত বিস্তৃত।
সেই চেষ্টার একটি বাস্তব রূপ হচ্ছে “একাডেমী অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম” বা শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র। গতবছরও এটি “একাডেমী অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম” নামে পরিচিত ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ইংরেজি ভাষা্ ব্যাতিত অন্য ভাষার চলচ্চিত্র কে এই পুরষ্কার দেয়া হয়ে থাকে। ১৯৫৬ লের ২৯তম একাডেমী পুরষ্কারের আসর থেকে এটি চলমান রয়েছে, ২০২১ সালে বসবে ৯৩তম আসর। প্রতিটি দেশ থেকে একটি মাত্র ফিল্ম জমা দেয়ার সুযোগ থাকে আর বিশ্বের নানান দেশ থেকে জমা পড়া ফিল্ম থেকে ৫টি ফিল্মের একটি শর্টলিস্ট থেকে দেয়া হয় চূড়ান্ত পুরষ্কার।
এই দীর্ঘ সময়ে, বাংলাদেশের সিনেমার প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আজকের আয়োজন। ২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জমা পড়েছে ১৬টি ফিল্ম, কোনোটিই সেরা পাঁচের শর্টলিস্টে আসতে পারেনি। চলুন এক নজরে ফিল্মগুলো নাম আর নির্মাতাকে চিনে নেই। বাংলাদেশ থেকে কোন চলচ্চিত্র অস্কারে এই বিভাগে লড়াই করবে, সেটি নির্বাচন করে বাংলাদেশ ফেডারেশব অফ ফিল্ম সোসাইটিস। শুধুমাত্র ২০০৫ এবং ২০১৮ সাল ছাড়া বাংলাদেশ থেকে অস্কারে পাঠানো সবগুলো ফিল্ম প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
২০০২- মাটির ময়না/ তারেক মাসুদ
২০০৫- শ্যামল ছায়া/ হুমায়ূন আহমেদ
২০০৬- নিরন্তর/ আবু সাইয়ীদ
২০০৭- স্বপডানায়/ গোলাম রাব্বানি বিপ্লব
২০০৮- আহা!/ এনামুল করিম নির্ঝর
২০০৯- বৃত্তের বাইরে/ গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
২০১০- থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার/ মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী
২০১২- ঘেটুপুত্র কমলা/ হুমায়ূন আহমেদ
২০১৩- টেলিভিশন/ মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী
২০১৪- জোনাকির আলো/ খালিদ মাহমুদ মিঠু
২০১৫- জালালের গল্প/ আবু শাহেদ ইমন
২০১৬- অজ্ঞাতনামা/ তৌকির আহমেদ
২০১৭- খাঁচা/ আকরাম খান
২০১৮- ডুব/ মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী
২০১৯- আলফা/ নাসির উদ্দীন ইউসুফ
২০২০- ইতি, তোমারই ঢাকা/ ১১ জন নির্মাতার অমনিবাস চলচ্চিত্র