
হলিউডের আইকন অড্রে হেপবার্নের টিভি-সিরিজ আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক-চিত্রনাট্যকার জ্যাকলিন হইট এর আয়োজনে, অড্রের সন্তান লুকা ডট্টির লেখা বই অবলম্বনে উঠে আসবে বিশের দশকের দুনিয়া কাপানো অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন সিরিজ ।
হলিউডের আইকন অড্রে হেপবার্নের টিভি-সিরিজ আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক-চিত্রনাট্যকার জ্যাকলিন হইট এর আয়োজনে, অড্রের সন্তান লুকা ডট্টির লেখা বই অবলম্বনে উঠে আসবে বিশের দশকের দুনিয়া কাপানো অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন সিরিজ।

২০ শতকের তুমুল জনপ্রিয় অস্কারজয়ী অড্রে হেপবার্নের কথা কে না জানে। ‘সাবরিনা’, ‘রোমান হলিডে’, ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিজ’ ইত্যাদি কালজয়ী চলচ্চিত্রে তার স্বভাবসুলভ লালিত্য আর মনোমুগ্ধকর পার্ফরম্যান্স তাকে অমর করে রেখেছে। দারুণ ফ্যাশনেবল, মন হরণ করা অভিনয়শৈলি আর আগুনঝড়া রূপের এই শিল্পীর জীবন নিয়ে গ্লোবাল মার্কেটে এখন পর্যন্ত কোনো হাই-এন্ড প্রোডাকশন হয়নি। সেই অভাব পূরণ করতেই এবারের ‘অড্রে’ টিভি-সিরিজের আয়োজন।
কে এই জ্যাকলিন হইট? ‘সিএসআই’, ‘দ্য গুড ওয়াইফ’, এইচবিওর পুরষ্কারজয়ী সিরিজ ‘দ্য লেফটওভার্স’ ইত্যাদি দুর্দান্ত কাজের লেখক-প্রযোজক যে অড্রে হেপবার্ন প্রজেক্টের উপযুক্ত ব্যাক্তি সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি জ্যাকলিন হইট অস্কারজয়ী নির্মাতা বেরি জেঙ্কিন্সের নতুন প্রজেক্টের সাথেও যুক্ত আছেন। এমাজন প্রাইম ভিডিওর জন্য কোলসন হোয়াইটহেডের পুলিতজার জয় করা উপন্যাস ‘দ্য আন্ডারগ্রাউন্ড রেইলরোড’ এর এডাপ্টেশন করবেন জ্যাকলিন হইট।

অড্রে হেপবার্নের পুত্র লুকা ডট্টি আর ইটালিয়ান সাংবাদিক লুইজি স্পিনলার-দুজনে মিলে ২০১৫ সালে ‘অড্রে অ্যাট হোম’ নামের একটি বই প্রকাশ করেন। বেস্ট সেলার এই বইটিকে আধা-বায়োগ্রাফি বলা যায়। বইটিতে আছে হেপবার্নের নানান তথ্য, রান্নার রেসিপি আর অপ্রকাশিত পারিবারিক ফটোগ্রাফ। বইটিতে লুকা আর লুইজি দুজনে মিলে অড্রের প্রকৃত স্বত্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। অড্রের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোকে তুলে ধরবে জ্যাকুলিন হইটের নতুন সিরিজ যেটি অনেকাংশে এই বইটি থেকে অনুপ্রাণিত। লুকা ডট্টির বাবা ছিলেন ইটালিয়ান সাইকিআট্রিস্ট আন্ড্রেয়া ডট্টি যার সাথে ১৯৭০ সালে অড্রে হেপবার্ন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১০ বছর তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
আভিজাত্য, গ্ল্যামার আর স্টাইল আইকন- হলিউডের রূপালী পর্দায় নায়িকাদের সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছিলেন অড্রে হেপবার্ন। ‘রোমান হলিডে’ চলচ্চিত্রের জন্য অস্কার, একটি এমি, একটি গ্র্যামি, একটি টনি, জ হার্শল্ট হিউম্যানিটারিয়ান পুরষ্কার, প্রেসিডেনশিয়াল মেডাল ফর ফ্রিডম ছাড়াও অসংখ্য পুরষ্কার জেতা অসম্ভব গুণী এই শিল্পী ১৯৯৩ সালে ৬৩ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।