গত ঈদ-উল-ফিতরে দেশের ২২টি বিনোদন চ্যানেলে মহামারীজনিত ক্ষয়ক্ষতি ছিলো প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এবারেও চাহিদা ও লক্ষ্য অনুযায়ী অসংখ্য একক ও ধারাবাহিক নাটক, টেলিফিল্ম নির্মাণ ও প্রচার থমকে আছে- বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বিনোদনের ছোট-পর্দার কলাকুশলি-নায়ক-নায়িকা-প্রযোজক-পরিচালক সকলেই। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে নাটকপাড়ায়।
গত ঈদ-উল-ফিতরে দেশের ২২টি বিনোদন চ্যানেলে মহামারীজনিত ক্ষয়ক্ষতি ছিলো প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এবারেও চাহিদা ও লক্ষ্য অনুযায়ী অসংখ্য একক ও ধারাবাহিক নাটক, টেলিফিল্ম নির্মাণ ও প্রচার থমকে আছে- বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বিনোদনের ছোট-পর্দার কলাকুশলি-নায়ক-নায়িকা-প্রযোজক-পরিচালক সকলেই। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে নাটকপাড়ায়।
যদিও এবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনে শুটিং করার অনুমতি ছিলো তবে ছোটপর্দার অনেকেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারনে তারকাদের একটি অংশ শুটিং-এ অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে। এর কারনে প্রায় দেড় শতাধিক নাটকে শুটিং বাতিল হয়। ফলে জট লেগেছে এবারের ঈদুল ফিতরের প্রচারের অপেক্ষায় থাকা কন্টেন্টের। মরার উপর খারার ঘা এর মতো যাদের ভিউ আর ফেস ভেল্যু বেশি তারাই লোকেশনে আসতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। বাতিল হয়েছে অসংখ্য নাটক। মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, তাহসান, অপূর্ব, নিশো, মেহজাবীন, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিনসহ হেভিওয়েট ও জনপ্রিউ- দুই ক্যাটাগরির তারকারাই শিডিউল ক্যান্সেল করেছেন করোনার কারনে।
তবে, টেলিভিশন প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসিরের মতে, ঈদের বাজারে বিনোদনের যে স্বাভাবিক গতি-নাটক বা টেলিফিল্মের চাহিদা ও যোগানের নিয়মিত আয়োজন ব্যহত হবে না। তিনি জানান, “ ‘আমাদের ব্যর্থতা আমরা আর্টিস্ট বেজড দর্শক তৈরি করে ফেলেছি। যদি কন্টেন্ট বেজড দর্শক তৈরি করতে পারতাম তাহলে আমাদের এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হতো না। আমার সাথে তারকাদের অনেকেরই কথা হয়েছে। তারা আবার নতুন করে কাজ শুরুর ব্যাপারে ভাবছেন। আমার মনে হয়, যদি ২৫ এপ্রিলের পর থেকে নিয়ম মেনে শুটিং করা যায় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে”। একই রকম আশাবাদ ব্যক্ত করেন নাগরিক টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান কামরুজ্জামান বাবু। তিনি বলেন,
“গতবারের মতো এবার খারাপ অবস্থা হবে সেটা আমি মনে করি না। বিভিন্ন টেলিভিশনে অনেক আগেই ঈদের অনুষ্ঠানমালার পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী কাজ করে, ফলে ঈদের টেলিভিশন নাটকের কাজগুলো কিন্তু শেষ হয়ে গেছে।”
এদিকে, বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান তারেক আখন্দ করোনায় নাটকের বাজার নিয়ে আলোকপাত করে জানান, "মার্কেট যাদের ওপর নির্ভর করে সেসব তারকাদের বড় একটা অংশ এবার লকডাউনে শুটিং করছেন না। তার ফলে মানি ফ্লো ব্যাপক অর্থে বন্ধ আছে। সেটার প্রভাব বিপণন, ডিজিটাল বিপণন, আনিং সবকিছুর ওপর পড়বে বলে মনে হচ্ছে। এবার দুইশো থেকে আড়াইশো নাটক কম হবে। তবে প্রভাবটা গতবারের মতো হবে না, কারণ সেবার তো আতঙ্কে সব বন্ধ ছিল। আর এবার কিছু কাজ হয়েছে। সেদিক থেকে হয়ত ক্ষতির পরিমাণটা কিছুটা কম হতে পারে।"
নাগরিক টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান কামরুজ্জামান বাবু বলেন, ‘গতবারের মতো এবার খারাপ অবস্থা হবে সেটা আমি মনে করি না। বিভিন্ন টেলিভিশনে অনেক আগেই ঈদের অনুষ্ঠানমালার পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী কাজ করে, ফলে ঈদের টেলিভিশন নাটকের কাজগুলো কিন্তু শেষ হয়ে গেছে”।
সবমিলিয়ে নাটক পাড়ার অবস্থা কিছুটা এলোমেলো। অনেকের মতে, টেলিভিশনে এর ধাক্কা লাগবে না তবে ক্ষতির মুখে পড়বে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো।এর কারণ হচ্ছে, জনপ্রিয় শিল্পীরা এবারে করোনার কারনে কাজ কম করেছেন। সবমিলিয়ে, নতুন স্বাভাবিক আর করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা এবারে নাটকপাড়ায় অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে।