করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালে অক্সিজেন পাঠিয়েও ট্রোলের শিকার সুস্মিতা সেন
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট

সবচেয়ে সংকটের সময়ে মানুষকে বাঁচাতে পারছে না হাসপাতাল। এই কান্নার দৃশ্য ভাইরাল হলে সাবেক মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন নিজ উদ্যোগে সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে। হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেনসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির এক হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৫ জন। ঐ হাসপাতালের সিইও অঝোরে কাঁদছেন- সবচেয়ে সংকটের সময়ে মানুষকে বাঁচাতে পারছে না তার হাসপাতাল। এই কান্নার দৃশ্য ভাইরাল হলে সাবেক মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন নিজ উদ্যোগে সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নানান সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিযুক্ত রেখেছেন তিনি। কঠিন এই পরিস্থিতিতে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। দিল্লির ঐ হাসপাতালের করুণ অবস্থা দেখে সুস্মিতা সাথে সাথে টুইট করেন যে কিভাবে সেখানে অক্সিজেন পাঠানো যায়। শ্বেতা জেরি নামে টুইটারে সুস্মিতা সেনের এক ফলোয়ার তার আহবানে সাড়া দেন। শ্বেতা জেরি তার বন্ধুদের সহায়তায় দিল্লিতে পৌছানোর ব্যবস্থা করেন।

এদিকে অনেকে মুম্বাই রেখে দিল্লিতে সাহায্য পাঠানোর ঘটনায় নাখোশ হয়েছেন। মুম্বাই থেকে দিল্লিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার কেন পাঠালেন সুস্মিতা-এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। একজন সুস্মিতাকে টুইটারে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কি খেয়ে কাজ নেই? আপনি কেন অক্সিজেন সিলিন্ডার মুম্বাই থেকে দিল্লিতে পাঠাচ্ছেন? একই পরিস্থিতির মুম্বাইয়ের কোনো হাসপাতালকে দিতেন। সবখানে তো একই অবস্থা!’
এই টুইটের জবাবে সুস্মিতা লেখেন, “না, দিল্লি আর মুম্বাইয়ের পরিস্থিতি এক নয়। দিল্লির হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রচণ্ড অভাব দেখা দিয়েছে। সেখানকার করোনা রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন। অন্যদিকে মুম্বাইয়ে এখনো পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। তাই সেগুলো মুম্বাই থেকে দিল্লিতে যাচ্ছে”।