ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স: ভক্তদের চাপে ক্ষমা চাইলেন জাস্টিন টিম্বারলেক
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট

সম্পর্ক ভাঙার পর ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ওপর একচেটিয়া দোষ চাপিয়েছিলেন জাস্টিন টিম্বারলেক। দুই দশক পর যখন 'ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স' নামের তথ্যচিত্রটি মুক্তি পেলো, তখন শুরু হলো তোলপাড়। এর জের ধরে যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ক'দিন বাদে, সেটা বোধহয় কল্পনাতেও ছিল না এই টিম্বারলেকের...
নিউ ইয়র্ক টাইমসের 'ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স' তথ্যচিত্রে সংগীত শিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সাথে পুরোনো সম্পর্কের অস্বস্তিকর স্মৃতি ফিরে আসায় ভুল বুঝতে পেরেছেন জাস্টিন টিম্বারলেক। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে 'গভীরভাবে মর্মাহত' এবং 'ভুলের দায় স্বীকার' করে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। ব্রিটনি স্পিয়ার্স ছাড়াও সুপার বোল কান্ডে যথাযথ সমর্থন করতে পারেন নি দেখে জ্যানেট জ্যাকসনের কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেতা-সংগীতশিল্পী জাস্টিন টিম্বারলেক।

এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় “N*Sync” ব্যান্ডের সদস্য থাকাকালীন জাস্টিন টিম্বারলেক ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সাথে ১৯৯০ থেকে ২০০২- টানা চার বছর প্রেম করেছিলেন। এরপর সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে তার একক গান ক্রাই মি আ রিভারে তিনি সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য ব্রিটনিই দায়ী- এমন ইঙ্গিত করেন। এছাড়াও পুরোপুরি ভাবে ব্রিটনিকেই সম্পর্ক ভাঙার জন্য দায়ী করেন তিনি কিন্ত এই ব্যাপারে তখন ব্রিটনি ছিলেন নীরব।
এরপর কেটে গেছে প্রায় দুই দশক। দুজনের জীবনে এসেছে ঘাত-প্রতিঘাত। ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স তথ্যচিত্রে জানা যায়, সম্পর্ক ভাঙ্গার দায় ব্রিটনির একার নয়, সমান দায় রয়েছে টিম্বারলেকরও যেটি তিনি অতীতে সম্পূর্ন রূপে ব্রিটনির উপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই ডকুমেন্টারিতে ব্রিটনি-টিম্বারলেকের আলোচিত-সমালোচিত জীবনের অনেক কিছুই উঠে আসে। ভক্তকুলের ভেতর আবার ব্রিটনি কে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরব হয়ে উঠে তার পক্ষে-বিপক্ষে মতামতের ঝড়ে। ‘জাস্টিস ফর ব্রিটনি’ আন্দোলনে জাস্টিন টিম্বারলেককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবী জোড়ালো হয়ে উঠে।
এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন টিম্বারলেক। সেখানে তিনি বিশদভাবে ভুল স্বীকার করে বলেন, “যা ঘটেছে, আমি সে জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি সত্য লুকিয়েছি। তাই আমি সবার আগে ব্রিটনির কাছে হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি।” এতোদিন পরে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারও তিনি পরিষ্কার করেন এই পোস্টে, “এই ক্ষমা চাওয়ায় অতীতের কিছুই ঠিক হয়ে যায়নি। তবু আমার কৃতকর্মের জন্য আমি ক্ষমা চাই।"
এদিকে, হুলুতে মুক্তি পাওয়া ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সাড়া দেখে নেটফ্লিক্স পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স কে নিয়ে নির্মাণ করতে যাচ্ছে আরেকটি ডকুমেন্টারি। এর আগেও ফায়ার ফেস্টিভাল নিয়ে হুলু আর নেটফ্লিক্স পাল্লা দিয়ে একই বিষয়ের উপর কাজ করেছে। একই বিষয়ের উপর ফিল্ম স্টুডিও গুলোর একসাথে কাজ করা নতুন বিষয় নয় তবে একই বিষয় নিয়ে স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলো পাল্টাপাল্টি কাজ করার প্রবণতা লক্ষ্য করার মতো।