দুই বাংলাতেই তাকে ডাকা হয় 'থ্রিলার সম্রাট' নামে, নিজে মৌলিক থ্রিলার লিখেছেন, উদ্বুদ্ধ করেছেন আরও অনেক তরুণকে, নিজে বটগাছ হয়ে তাদেরকে ছায়ার নিচে রেখে সাহস দিয়েছেন বাংলা ভাষায় মৌলিক থ্রিলার লেখার। তিনি থ্রিলার লেখক মোঃ নাজিম উদ্দিন, দেশে এবং দেশের বাইরে যার লেখনির ভক্ত অগুনিত। তার রচিত 'কন্ট্রাক্ট' উপন্যাস অবলম্বনে ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে কন্ট্রাক্ট ওয়েব সিরিজটি, এদিকে বিখ্যাত ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় তার আরেক সৃষ্টি 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি'ও পর্দায় আসবে খুব শিগগিরই। কিন্ত মোঃ নাজিম উদ্দিনের সাথে আমাদের আলাপটা শুধু কন্ট্রাক্ট বা রবীন্দ্রনাথে সীমাবদ্ধ রইলো না, সেখানে হাজির হলো নির্মাতার স্বাধীনতা থেকে সিনেমা বা সিরিজের সঙ্গে বইয়ের পার্থক্যের জায়গা নিয়ে তার ভাবনাগুলোও। প্রিয় পাঠক, থ্রিলার সম্রাটের সাথে সিনেগল্পের এই আড্ডায় আপনাকেও স্বাগতম...

সিনেগল্প: ১৮ই মার্চ জি ফাইভে 'কন্ট্রাক্ট' মুক্তি পেল, সামনে 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' মুক্তি পাবে...

মোঃ নাজিম উদ্দিন: 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' পহেলা বৈশাখে সম্ভবত মুক্তি পাবে।

সিনেগল্প: চমৎকার! এমন বড় প্ল্যাটফর্মে যখন নিজের কাজ যায়, কেমন লাগে লাগে তখন?

মোঃ নাজিম উদ্দিন: এটা তো খুবই ভালো একটা ব্যাপার, বিশেষ করে থ্রিলার সাহিত্যের জন্য মনে করি আরও বিরাট ব্যাপার। মৌলিক থ্রিলারের একটা বড় সংকট ছিল আমাদের এখানে৷ আমি যখন ২০১০ সালে প্রথম লিখলাম...

সিনেগল্প: নেমেসিস? 

মোঃ নাজিম উদ্দিন: হ্যাঁ, নেমেসিস' দিয়ে শুরু, এরপর ধীরে ধীরে আরও লেখক যোগ দিলেন। তাদেরকে নারচার করলাম, গ্রুমিং করলাম। তারপর যখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো নক দেওয়া শুরু করলো, তখন এক ধরনের রিকগনিশন এলো যে, বাংলাদেশে ভাল মানের থ্রিলার গল্প তৈরী হচ্ছে। এটা বিরাট এক অর্জন বলেই আমি মনে করি৷ তবে এটাকে আমি ব্যক্তিগত অর্জন হিসেবে না দেখে থ্রিলার সাহিত্যের অর্জন বলেই মনে করি।

সিনেগল্প: ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো আপনার লেখা থেকে যখন স্ক্রিপ্ট সাজাচ্ছে, তারা কি সেখানে আপনার মতো করে ইনপুট দেওয়ার স্বাধীনতাটুকু আপনাকে দিচ্ছে?

মোঃ নাজিম উদ্দিন: ওটিটি বলুন বা ফিল্ম অথবা সিরিজ, এটা একটা সিনেমা ব্যবসাই বলা যায়। আমি এটাকে সিনেম্যাটিক ওয়ার্ল্ডই বলব। এখানে একটা সমস্যা হচ্ছে কি, আমাদের একটা ধারণা থাকে যে লেখকই স্ক্রিপ্টের সবকিছু ঠিক করে দেবে। আসলে কিন্তু তা না। ডিরেক্টর একটি গল্প পছন্দ করে, তার প্ল্যান অনুযায়ী গল্পটি সাজায়, সেই প্ল্যানে লেখক এগ্রি করলে তবেই তা পরিণতি পায়।

ভিজ্যুয়াল মিডিয়া সম্পূর্ণই ডিরেক্টর'স মিডিয়া। এখানে ডিরেক্টরের স্বাধীনতাই বেশি। রাইটারের আসলে তখন আর নাক গলানোটা ঠিক বলে মনে করি না আমি। ডিরেক্টর যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই করবেন। ওখানে কাস্টিং নিয়ে, বা গল্পের প্যাটার্ন নিয়ে, গল্পের চেঞ্জ নিয়ে রাইটারের ইন্টারফেয়ার করাটা আসলে উচিত না। 

সিনেগল্প: সেক্ষেত্রে কি আপনার এমন কোনো আশঙ্কা কাজ করে যে, লেখাটি যেভাবে আপনি লিখেছেন, তা সম্পূর্ণ উল্টোভাবে দর্শকের কাছে উপস্থাপন করা হতে পারে?

মোঃ নাজিম উদ্দিন: উল্টোটা হবে না কারণ তারা তো আমাকে অলরেডি প্ল্যানটা বলেই নেয়। ওইদিক থেকে চিন্তা করলে এটা ঘটে না আসলে। স্ক্রিপ্টে যতটুকু যা পরিবর্তন আনা হয়, লেখককে জানিয়েই তা করা হয়। আমি তো আগে থেকেই জানি কী হতে যাচ্ছে। সুতরাং গল্প সম্পূর্ণ উলটোভাবে ভিজ্যুয়ালাইজ করা হবে, এ ধরনের আশঙ্কা আসলে থাকে না এক্ষেত্রে।

মোঃ নাজিম উদ্দিনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সৈয়দ নাজমুস সাকিব

সিনেগল্প: কন্ট্রাক্ট বইটা ছিল পলিটিকাল অ্যাকশন থ্রিলার, কিন্তু সিরিজটির টিজার দেখে মনে হয়েছে অ্যাকশনের পরিমান কম, পলিটিকাল থ্রিলারের গল্পই বেশি। এ ব্যাপারটিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

মোঃ নাজিম উদ্দিন: শেষ পর্যন্ত কন্ট্রাক্ট তো আসলে পলিটিক্যাল অ্যাকশন থ্রিলারই, কারণ পুরো কন্সপিরেসিটা তো পলিটিক্যাল বেইজড। সেই হিসেবে ডিরেক্টররা যেটা করেছে সেটা হচ্ছে ওরা আমাকে জানিয়েই পলিটিক্যাল অংশটাকে লম্বা করেছে, যেটা আমার বইতে খুব কম ছিল। এখানে অনুমতি নেয়ার কোন ব্যাপার নেই, কারণ ডিরেক্টররা স্বাধীন। আমার কাছেও আইডিয়াটা ভালো মনে হয়েছে।

কন্ট্রাক্টে আমি অ্যাকশন লিখেছি বেশি। ওয়েবে এতটা বেশি থাকবে না সত্যি, কিন্তু খুব কমও থাকবে না। আমরা তো আসলে হলিউড না। আমি হলিউডের মতো অ্যাকশন দৃশ্য লিখতে পারব, কিন্তু পর্দায় তা ফুটিয়ে তোলাটা কঠিণ হয়ে যায়; বাস্তবসম্মতও হয় না। বাস্তব হবে না, কারণ আমার দেশের ঢাকা শহরের যে গতি, আমেরিকার একটা শহরের গতি তো তা না। আমি যদি এখন দেখাই যে ঢাকার রাস্তা দিয়ে দিনেদুপুরে একশো মাইল গতিতে গাড়ি ছুটছে, ঢাকা শহরে সেটা আনবিলিভেবল। পনেরো-বিশ মাইল পার আওয়ারই অনেক বেশি মনে হয়।

তাই ডিরেক্টর যখন আমাকে জানায় অ্যাকশনের পরিমাণ কমিয়ে পলিটিকাল গল্পই বেশি দেখাতে চান, আমার কাছেও সেটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। তবে দর্শকদের একটা অনুরোধ করে রাখি, বইতে আমি যা লিখেছি, পর্দায় ঠিক তেমনটাই দেখবেন, সে আশা যাতে তারা না করেন। কারণ সিনেমার ভাষা সম্পূর্ণই আলাদা। ডিরেক্টর আমার লেখাটাকে সিনেম্যাটিক ল্যাঙ্গুয়েজে কনভার্ট করে তারপর দেখাবে। এখন ওই ক্যারেক্টারটা কেন বেশি, ওটা কেন কমে গেল- এমন অভিযোগ তোলা মনে হয় ঠিক না।

হলিউড বা অন্য দেশের সিনেমার উদাহরণই দেই, তুমি গডফাদার দেখো, সাইলেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস দেখো, বইয়ের থেকে ব্যাপক পরিবর্তন সিনেমায়। একটা ক্যারেক্টার মরে গেছে বইয়ের মাঝখানে, কিন্তু সিনেমাতে ওই ক্যারেক্টার‍টা জীবিত। অ্যাবসলিউট পাওয়ার নামে একটা বই আছে, সেটা থেকে ক্লিন্ট ইস্টউড সিনেমা করেছেন, খুব বিখ্যাত পরিচালক এবং অভিনেতা। বইতে ওই ক্যারেক্টারটা মরে যায় মাঝখানে, কিন্ত যখন সিনেমা করেছে সেটা থেকে, ইস্টউড কিন্তু ওই ক্যারেক্টারটাকে জীবিত দেখিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। এরকম ব্যাপক চেঞ্জ মেনে নিয়েই আমরা ওয়েব সিরিজটাকে দেখতে পাব। যে কোন গল্প নিয়েই যখন ফিল্ম বা সিরিজ হবে, দর্শক যেন ডিফারেন্ট একটা গল্প ওখানে আশা করেন। বইয়ের গল্পটা তারা যেন মাথায় না রাখেন। পরিচালকদের জন্য এটা খুব টাফ হয়ে যাবে তা নাহলে। 

সিনেগল্প: ঠিক বই এর মতো করেই ধারণ করতে পেরেছে, এমন কোনো সিনেমা বা সিরিজ কি আছে আপনার পছন্দের?

মোঃ নাজিম উদ্দিন: গডফাদার, বইয়ের চেয়েও বেটার আমার কাছে মনে হয়েছে সিনেমাটা। দ্বিতীয় যদি বলি, তাহলে সাইলেন্স অফ দি ল্যাম্বস। আমি বইটা পড়ে যে ফিলটা পেয়েছি, ফিল্মটা দেখে আমার কিছু কিছু জায়গায় বইয়ের চাইতেও বেটার মনে হয়েছে। আরেকটা হচ্ছে স্টিফেন কিংয়ের দ্য শশাঙ্ক রিডাম্পশান। ওটা বইয়ের চেয়ে সিনেমা অনেক অনেক বেটার! বইটা আমি বাংলায় অনুবাদ করেছিলাম, ওটার চেয়ে সিনেমা অনেক ভালো। এরচেয়ে ভালো কি আর হতে পারে! 

সিনেগল্প: এমন কোনো অভিনেতা/অভিনেত্রী কি আছেন, জীবিত কিংবা মৃত, যাদের আপনি আপনার কাজে দেখতে চান?

মোঃ নাজিম উদ্দিন: মৃতদের মধ্যে ছবি বিশ্বাস। আমার অসম্ভব পছন্দের অভিনেতা। তাকে আমার কাছে মনে হয় যুগোত্তীর্ণ। এছাড়া হুমায়ুন ফরীদির কথা বলবো। ব্রিলিয়ান্ট অভিনেতা, কিন্ত তার খুুুব ভালো কোন কাজ নেই সিনেমায়। আমার কাছে মনে হয় কমার্শিয়াল সিনেমায় তাকে অ্যাবিউজ করা হয়েছে।

সিনেগল্প: কিন্ত সিরিয়াল কিলিং নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম যে সিনেমা, সেটি তো হুমায়ূন ফরীদি করেছেন। বিশ্বপ্রেমিকের মতো ভিন্নধর্মী সিনেমা তিনি করেছেন...

মোঃ নাজিম উদ্দিন: তিনি যে মাপের অভিনেতা, অনেক অনেক বেটার কিছু তিনি করতে পারতেন। উনি হয়তো কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যেতেন। উনার ছবি হয়তো অস্কারেও যেতো। ফাইনেস্ট অ্যাক্টর ছিলেন তিনি। খুব বেশি ভালো সিনেমা কিন্ত তাকে নিয়ে হয়নি, বেশিরভাগই হয়েছে গড়পরতা। তার মানের অ্যাক্টরকে নিয়ে যেভাবে সিনেমা হওয়া দরকার ছিল, সেটা তো হয়নি। ভারতে যেমন নওয়াজউদ্দিনকে নিয়ে হচ্ছে, সেরকম কিন্ত আমাদের এখানে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের বিরাট একটা ক্ষতি হয়ে গেছে। তাকে আমাদের অনেক অনেক ভালোভাবে ব্যবহার করা উচিত ছিল। 

সিনেগল্প: আর জীবিতদের মধ্যে? 

মোঃ নাজিম উদ্দিন: আমি মোশাররফ করিমের একটা কাজ দেখলাম- কমলা রকেট, খুবই ভালো কাজ করেছেন উনি। চঞ্চল চৌধুরী তো অলরেডি প্রমাণিত। আফরান নিশো খুবই ভালো অভিনয় করেন। আমি যে ক'টা কাজ দেখেছি তার, বেশ ভালো মনে হয়েছে তাকে। তাকে ঠিকভাবে ব্যবহার করলে খুব ভালো কিছু আসবে। 

সিনেগল্প: নিশো কিন্ত হুমায়ূন ফরীদির অনেক বড় ভক্ত, তিনি তার সব অ্যাওয়ার্ডই ফরীদিকে উৎসর্গ করেন। 

মোঃ নাজিম উদ্দিন: আইকন তো একজন লাগেই। আমার যেমন বব ডিলান আইকন। 

সিনেগল্প: কিন্ত আপনি তাকে অনুসরণ করতে চান, অনুকরণ নয়।

মোঃ নাজিম উদ্দিন: না, আমি তার মতো হতে চাই না, আমি আমার মতো হবো।

সিনেগল্প: আর নারীদের মধ্যে কার নাম বলবেন? 

মোঃ নাজিম উদ্দিন: আমি আসলে খুব বেশি কাউকে চিনি না, একদম সাম্প্রতিক সময়ে যারা কাজ করছে, তাদেরকে একদমই না। হয়তো চেহারা চিনি, কিন্ত নাম জানিনা। কাজ ভালো লাগে নারীদের মধ্যে জয়া আহসানের। বাঁধনের কথাও বলতে চাই, কারণ তিনি যেভাবে নিজেকে ভেঙে 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি'তে উপস্থাপন করেছেন, সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। হলিউড থেকে অর্ড্রে হেপবার্ন, হেইডি লামার, মার্লোন ব্র‍্যান্ডো, আরও অনেকে, যাদের নাম অনেকে এখন ভুলেও গেছেন। 

মোঃ নাজিম উদ্দিন

সিনেগল্প: সিনেমার সঙ্গে কি আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল? বা পরিবারে কোন ফিল্মি আবহ? 

মোঃ নাজিম উদ্দিন: আমার বাবা-চাচা দুজনেই প্রচুর হলিউডি সিনেমা দেখতেন। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখতাম তারা কোনো বাংলা, হিন্দী, উর্দু বা অন্য কোনো সিনেমাই দেখতেন না, শুধু হলিউড দেখতেন। তাদের এই প্রভাবটা অবচেতন মনে পড়ে যেতে পারে আমার ওপর। আমি কিন্তু খুব ছোট থেকেই ত্রিশ এবং চল্লিশের দশকের মুভি দেখি। হাই গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি- ১৯৩২ সালের এই ছবিটা আমি দেখেছি যখন আমার বয়স নয় বছর। 

সিনেগল্প: সৃজিত মুখার্জির সাথে কাজ করেছেন। তার সাথে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি কিছু বলেন...

মোঃ নাজিম উদ্দিন: আগে বলে রাখি, 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' কিন্তু অনেক আগের প্রোজেক্ট। কোলকাতা থেকে এক প্রোডিউসার ঢাকায় আমার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেন৷ দু'বছর কথা বলার পর আমি তার সাথে চুক্তি করি৷ এই চুক্তির সপ্তাহ দুয়েক পর সৃজিত আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন। এর আগে বিভিন্ন ইন্টার্ভিউতে এই বই নিয়ে কাজ করতে চান বললেও আমার সাথে কোনো সরাসরি যোগাযোগ করেননি। তো ফোনে যখন তিনি আমাকে বললেন যে বইটি নিয়ে তিনি কাজ করতে চান, তখন আমি বলি ইতোমধ্যে অন্য পরিচালকের সাথে চুক্তি করে ফেলার কথা। পরবর্তীতে তিনি সেই প্রোডিউসার, পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করে আপোষে সব ম্যানেজ করে নেন।

শুরুতে প্ল্যানটা ছিল এটা বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে এটা করবে। আমাদের এখান থেকে আর্টিস্ট বেশি যাবে, সঙ্গত কারণেই। কারণ ক্যারেক্টারগুলো বাংলাদেশী। কোভিডের কারণে সেটা হয়নি। তখন সৃজিত এটা চেঞ্জ করলো। তখন আমরা, হইচই, সবাই জুম মিটিংয়ে বসে আলাপ করলাম, কী কী চেঞ্জ হবে আমাকে বলে নিলো, ব্রিফ করলো। আমি অনেক ভেবে দেখলাম যে, বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হবে। নইলে প্রজেক্টটা অনিশ্চিত হয়ে যাবে। চেঞ্জটা হোক, কাজটাও হোক। কারণ অলরেডি সবাই ইনভলভ হয়ে গেছে, টাকাও ঢুকে গেছে বেশকিছু। খুব দ্রুত শুটিং শেষ করে পোস্ট প্রোডাকশনে চলে গেছেন তারা, আমাকে যতদূর জানানো হয়েছে যে, পহেলা বৈশাখে রিলিজ দেয়া হবে এটা।

'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি'র স্ক্রিপ্ট তো সৃজিত নিজে লিখেছেন, স্ক্রিপ্ট লেখার সময় তাঁর সাথে অনেক যোগাযোগ হয়েছে। স্ক্রিপ্টের ব্যাপারে সৃজিত খুব খুঁতখুঁতে। ডিটেইলিংয়ের জন্য যা যা জানার, তার সাথে সৃজিত কম্প্রোমাইজ করেননি, বারবার যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে নিয়েছেন। তবে করোনার জন্য আমাদের সামনাসামনি দেখা হয়নি, ফোনে কিংবা অনলাইন মিটিংয়েই কাজ সারতে হয়েছে। 

সিনেগল্প: অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি 'কন্ট্রাক্ট' ও 'রবীন্দ্রনাথ কখনও খেতে আসেননি' দুটোই খুব ভাল হবে। নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে আপনার আরও প্রজেক্ট ওয়েবে, কিংবা বড় পর্দায় দেখতে পাব। শুভকামনা রইলো।

মোঃ নাজিম উদ্দিন: তোমাকেও ধন্যবাদ।

পুরো ইন্টারভিউটি দেখতে পারবেন এই লিংকে ক্লিক করে- https://youtu.be/AjOSd6fUuUE

 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা