সালতামামি ২০২০: বছরের সেরা পাঁচ নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পী
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
করোনার কারনে অন্য সব অঙ্গনের মতো মিডিয়াপাড়াও স্থবির হয়ে পড়েছিল, নাটক নির্মাণ হয়েছে অনেক কম। এরমধ্যেও বেশ কিছু দারুণ কাজ এসেছে, আর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তো ফর্মে ছিল বছরজুড়েই...
২০২০ সাল, পুরো পৃথিবীর জন্যই ছিল অশুভ একটা বছর। করোনা ভাইরাসের ছোবলে পৃথিবী ছিল বিপর্যস্ত, বাংলাদেশেও লেগেছিল এর ছোঁয়া। একে একে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, জনজীবন থমকে ছিল টানা কয়েক মাস। করোনার প্রভাব ছিল মিডিয়া ভুবনেও, শুটিং বন্ধ ছিল। যেখানে প্রতি ঈদে নাটক বানানোর উৎসব হতো রীতিমতো, সেখানে এবার সবকিছুই ছিল বন্ধ। নাটক অনেক কম বানানো হয়েছে, তবে এই স্বল্পসংখ্যার কারনেই ভালো নাটকগুলো হয়েছে আলোচিত। টিভি নাটকের পাশাপাশি এই বছরের প্রাপ্তি ওয়েব প্লাটফর্ম, বছরজুড়েই ছিল এই নিয়ে আলোচনা৷ সেইসঙ্গে করোনাকে কেন্দ্র করে দুই ঈদে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু শর্টফিল্মও।
২০২০ সালে প্রচারিত টিভি নাটক, শর্টফিল্ম ও ওয়েব ফিকশন সব মিলিয়ে এই বছরের সেরা পাঁচ নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পী নিয়ে এই বিশেষ সালতামামি:
সেরা পাঁচ নির্মাতা:
১. আশফাক নিপুণ: সময় যতো পেরোচ্ছে, নির্মাতা হিসেবে তিনি যেন আরো পরীক্ষিত ও পরিনত হয়েছেন। গত কয়েক বছরের মত এই বছরটাও নিজের মত করে নিয়েছেন, যার উদাহরণ মিলে 'ভিকটিম' এর মত একটা স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে নির্মিত টেলিফিল্মে। নিপুণ এবছর আরো বানিয়েছেন মধ্যবিত্ত জীবনের সংগ্রামের গল্প 'ইতি, মা', আধুনিক যুগের স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্কের পেছনের গল্প 'মুখ ও মুখোশের গল্প' কিংবা করোনাকালে বয়স্ক শিক্ষকদের যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, সেটাই তুলে ধরেছেন শর্টফিল্ম 'অযান্ত্রিক' এ। নতুন বছরেও আরো উদ্যমী হয়ে ছুটে চলবেন- এটা প্রতিটা দর্শক ই বিশ্বাস করেন।
২. সৈয়দ আহমেদ শাওকি: পুরো বছরের মাত্র একটি কাজ, তাও ভারতের ওটিটি প্লাটফর্ম 'হইচই' এর ব্যানারে নির্মিত ওয়েব সিরিজ 'তাকদীর'। এই সিরিজটি নির্মান করে দর্শকমহলে তুমুল সাড়া ফেলে দিয়েছেন শাওকি, বলা যায় এটিই এই বছরের সবচেয়ে আলোচিত ফিকশন। বাংলাদেশ তো বটেই,ভারতেও তিনি প্রশংসার ফুলঝুরি ফুটিয়েছেন।
৩. মিজানুর রহমান আরিয়ান: পুরো বছর জুড়েই টিভি নাটকে নির্মানে ব্যস্ত ছিলেন এই জনপ্রিয় নির্মাতা। ভালোবাসা দিবসে 'গজদন্তিনী', দুই ঈদে 'উপহার', 'জানবে না কোনোদিন', 'স্বার্থপর', 'শহর ছেড়ে পরানপুর', 'একাই একশো', 'প্রানপ্রিয়' অন্যতম। প্রায় সবগুলোই মোটামুটি আলোচনায় এসেছে, তবে দর্শকদের মধ্যে বেশি সাড়া ফেলেছে 'গজদন্তিনী'। নতুন বছরে আরো বেশি আলোচিত হবেন সেটার আভাস পাওয়া যাচ্ছে এখনই। হইচই প্লাটফর্মে আসছে তার পরিচালিত 'ভালো থাকিস বাবা', বাংলাদেশের ওটিটি প্লাটফর্মেও আসছে একাধিক নির্মান, সঙ্গে টিভি নাটক তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে আসছে বছরে আরিয়ান বেশ ব্যস্তই থাকবেন আশা করা যায়।
৪. ভিকি জাহেদ: শর্টফিল্মের জন্য খ্যাত এই নির্মাতা এই বছর মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন টিভি নাটকে। বছরের শুরুতে 'ট্রফি' প্রচার হলেও তাকে মূলত আলোচনায় এনে দেয় রেহনুমা, নির্বাসন, জন্মদাগ ও ইরিনা- এই পরপর চারটি নাটক। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নির্মিত শর্টফিল্ম 'পোস্টার' প্রশংসিত হয়েছে।
৫. শিহাব শাহীন: রোমান্টিক জনরার সবচেয়ে জনপ্রিয় এই নির্মাতা এই বছর চমক দেখিয়েছেন ওয়েব সিরিজ '১৪ই আগষ্ট' নির্মাণ করে। আলোচনা- সমালোচনা যাইই হোক, নির্মাতা হিসেবে তিনি আরো বেশি আলোচিত হয়েছেন যার প্রমাণ মিলে নতুন বছরে আসছে আরেকটি ওয়েব সিরিজ 'মরিচীকা'। এছাড়া 'অবুঝ দিনের গল্প- ২' ও মোটামুটি আলোচনায় এসেছে।
এছাড়া ভালোবাসা দিবসে 'তোমার পাশে হাঁটতে দিও' নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন অনম বিশ্বাস। অন্যান্য নির্মাতাদের মধ্যে শাফায়েত মনসুর রানা (দ্য লাস্ট অর্ডার, মশাল, প্রেশার কুকার, পরিপূরক, মধ্যনায়ক) নির্মান করে প্রশংসিত হয়েছেন। সঞ্জয় সমদ্দার (যে শহরে টাকা উড়ে, শিফট, অপরুপা), রাফাত মজুমদার রিংকু (বোধ), কাজল আরেফিন অমি (ব্যাচেলর পয়েন্ট: সিজন ৩, হোয়াই ), মাবরুর রশিদ বান্নাহ (আমার অপরাধ কি, ব্যঞ্জনবর্ণ), নুহাশ হুমায়ূন (শেষটা সবাই জানে), মাহমুদুর রহমান হিমি (কেন), হিমেল আশরাফ (দেখা হবে), জনাব তানভীর আহমেদ (এক্সট্রা আর্টিস্ট), তুহিন হোসেন (তৃতীয়জন) অন্যতম।
সেরা পাঁচ অভিনেতা:
১.আফরান নিশো: এই নিয়ে পরপর তিনবার বছরের সেরা আলোচিত অভিনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। পুরো বছর জুড়ে বিভিন্ন উৎসবে ছিল তার সরব উপস্থিতি। হোক সেটা গজদন্তিনী কিংবা ভিক্টিমের মতো নাটক। 'ইতি, মা' তো দারুণ ভাবে আলোচিত, বছর জুড়ে তার অভিনীত নাটকের প্রশংসাই হয়েছে বেশি। এছাড়া অন্যান্য নাটকের মধ্যে নির্বাসন, জন্মদাগ, ইরিনা, একাই একশো, উপহার, পরিপূরক, শিফট, তৃতীয় জন অন্যতম। জি ফাইভের ওয়েব ফিল্ম 'মাইনকার চিপায়'তেও ছিলেন নিশো। নতুন বছরে শিহাব শাহীনের ওয়েব সিরিজ 'মরীচিকা' সহ একাধিক কাজে দেখা যাবে তাকে।
২. চঞ্চল চৌধুরী: হইচই প্লাটফর্মের ওয়েব সিরিজ 'তাকদীর' এ অভিনয় করে দুই বাংলায় রীতিমত আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছেন এই অভিনেতা। প্রধান ভূমিকায় অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছেন, পুরো বছরজুড়ে অভিনেতা হিসেবে সমাদৃত না হলেও বছর শেষে এসে পুরো ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই অভিনেতা। নতুন বছরে হইচইয়ের ব্যানারেই 'ভালো থাকিস মা' তে অভিনয় করছেন, সিনেমাও রয়েছে দুইটি। যা তাকে আরো উচ্চশিখরে নিয়ে যাবে। অভিনয়ের বাইরে বছরের সবচেয়ে আলোচিত গান 'যুবতী রাধে' এর গায়ক হয়ে শ্রোতাদের চমকে দিয়েছিলেন। গায়ক হিসেবেও দারুণ সফল ছিলেন এবছর।
৩. মোশাররফ করিম: ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে এবার দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত এই অভিনেতা। তুমুল জনপ্রিয় কোন নাটক না হলেও দর্শকদের তিনি হতাশ করেননি, এটাই বড় প্রাপ্তি। 'যে শহরে টাকা ওড়ে' কিংবা 'বোধ' দুইটি নাটকেই উনার অভিনয়ের বিশালতা আরেকবার ধরা পড়েছে। এছাড়া অন্যান্য কাজের মধ্যে এখানে তো কোন ভুল ছিল না, ব্যঞ্জনবর্ণ, হ্যামলেটের ফিরে আসা অন্যতম।
৪. ফজলুর রহমান বাবু: বরণ্য এই অভিনেতা এই বছর 'এক্সট্রা আর্টিস্ট' নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছেন, উনার অভিনয় গুণে নাটকটি অত্যন্ত আলোচনায় এসেছে, এর বাইরে করোনাকালীন গল্প কে কেন্দ্র করে স্যাটায়ার ধর্মী শর্টফিল্ম 'আড়াই মণ স্বপ্ন' ও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। খুশির খবর হলো এবছরেই চতুর্থবারের মত জাতীয় পুরস্কার ঘরে তুলছেন তিনি।
৫(১). অপূর্বঃ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, তবে এবছর খুব একটা ভালো সময় কাটান নি। ব্যক্তিগত জীবনে বেশ ঝড় ই গেছে বলা যায়, এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সংখ্যার বিচারে বেশকিছু নাটক করলেও দর্শক সমাদৃত হয়েছে কম। এই অবস্থার উত্তরণ না ঘটলে আশাহত হওয়া ছাড়া আর কিছু থাকবে না। অবশ্য তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা অপেক্ষায় আছেন ওয়েব ফিল্ম 'ট্রোল ও 'যদি-কিন্তু-তবুও'র জন্য, আরো ভালো কিছু কাজ আছে যেগুলোর সুবাদে আবার ঘটবে প্রত্যাবর্তন। এই বছরের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে স্বার্থপর, সে ভালোবেসেছিল, জানবে না কোনোদিন, অপরুপা, অবুঝ দিনের গল্প ২, তুমি আমি আর দ্বিধা, আপনার ছেলে কি করে? অন্যতম।
৫(২). তৌসিফ মাহবুব: করোনাকালে যেখানে অনেকে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছিলেন সেইখানে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন হালের উঠতি এই অভিনেতা। যার ফলস্বরুপ আগের চেয়ে আলোচনা বেড়েছে বেশি। রোমান্টিক ধারার নাটক 'কেন' তে বেশি আলোচিত হয়েছেন,এর বাইরে রেহনুমা, অপেক্ষার নীল প্রহর, হোয়াই! অন্যতম। অন্যদিকে নিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ 'ব্যাচেলর পয়েন্ট' থেকে বেরিয়ে এসে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
এছাড়া ভালোবাসা দিবসে 'তোমার পাশে হাঁটতে দিও'তে অভিনেতা খায়রুল বাশার প্রশংসিত হয়েছেন। ইয়াশ রোহান নিজেকে আরো দারুণভাবে পরিক্ষীত করেছেন মশাল, করোনাকাল শর্টফিল্মে। অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে অ্যালেন শুভ্র (দ্য লাস্ট অর্ডার, এক্সট্রা আর্টিস্ট, আমার অপরাধ কি), জুনায়েদ বোকদাদি (শেষটা সবাই জানে), তাহসান (মুখ ও মুখোশের গল্প, মা আই মিস ইউ), শাওন (তোমার কাছেই যাবো), ইরফান সাজ্জাদ (প্রেশার কুকার), জোভান (অবুঝ মন), মনোজ কুমার (তাকদীর) অন্যতম। প্রধান চরিত্রে না হয়েও তাকদীর ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে গেছেন সোহেল মন্ডল, ব্যাচেলর পয়েন্টের সুবাদে জিয়াউল হক পলাশ বরাবরেই মত নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে বেশ আলোচিত, ফ্যামিলি ক্রাইসিসে অভিনয় করে শামীম হাসান সরকার,ভতামিম মৃধা ছিলেন আলোচনায়।
সেরা পাঁচ অভিনেত্রী:
১. মেহজাবীন: গেল কয়েক বছরের মত এইবারেও নিজের শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রাখলেন সময়ের সেরা এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বছর জুড়েই পুরোদমে ব্যস্ততা কাটিয়েছেন। যার ফলে কিছু সংখ্যক কাজে দর্শকদের হতাশ করলেও প্রশংসিত নাটক ও ছিল চোখে পড়ার মত। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে আরো পরিক্ষীত করেছেন। উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ইরিনা, জন্মদাগ, রেহনুমা, নির্বাসন, গজদন্তিনী, পরিপূরক, ফ্যাশন, সে ভালোবেসেছিল, কেন, তৃতীয় জন অন্যতম।
২. ঈশিতা: 'ইতি, মা'- এই একটি মাত্র টেলিফিল্মের জন্য তিনি বছরের সব পুরস্কার নিয়ে নিতে পারেন। কারন বছরের অন্যতম আলোচিত এই গল্পে তিনি ছিলেন সেরা তারকা। অভিনয়গুণে দর্শকদের কাছ থেকে অকুন্ঠ বাহবা দিয়েছেন বুঝিয়ে দিয়েছেন এখনো ফুরিয়ে যাননি, বরং ঠিকঠাক চরিত্র পেলে এখনো নতুনদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যেতে পারেন। এর বাইরে 'কেন' তে স্বল্প উপস্থিতিতে মুগ্ধ করেছেন।
৩.অপি করিম: স্বামীর প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে স্ত্রীর মনে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়,সেই টানাপোড়নের গল্প 'ভিক্টিম', বছরের অন্যতম আলোচিত ও প্রশংসিত টেলিফিল্ম। যেখানে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করে সমালোচক বোদ্ধা থেকে দর্শকদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন এই স্বনামখ্যাত অভিনেত্রী। পুরস্কারের তালিকায় তিনিও থাকবেন চুড়ান্তভাবে।
৪.তাসনিয়া ফারিণ: বাংলা নাটকের সম্প্রতিকালের সেরা নবীন তারকা হচ্ছেন এই অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই নিজের আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন। সঠিক নির্দেশনা পেলে একদিন সুপ্রতিষ্ঠিত হবেন এটা আশা করাই যায়। বছরজুড়ে তাকে অসংখ্য নাটকে দেখা গেছে তার মধ্যে যে শহরে টাকা ওড়ে, জানবে না কোনোদিন, শহর ছেড়ে পরানপুর, মাস্ক, আমার একটাই বউ, আমার তুমি, ডিভোর্স ফটোগ্রাফি অন্যতম।
৫.তাসনুভা তিশা: 'আগষ্ট ১৪' ওয়েব সিরিজে সাহসিকতাপূর্ণ অভিনয়ের সুবাদে দর্শকদের কাছে নতুনভাবে আলোচিত হয়েছেন। এর আগে এত বড় সুযোগ আসেনি, প্রথমবারেই সেটা খুব ভালো ভাবে লুফে নিয়েছেন। তার অভিনয়ের প্রশংসা সবাই করেছেন। এই সিরিজ বাদে বোধ, ভালোবাসার গল্প অন্যতম।
চলচ্চিত্র নিয়ে বেশ ব্যস্ততা থাকায় নাটকে কম সময় দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। তার অভিনীত 'মুখ ও মুখোশের গল্প' বেশ প্রশংসা পেয়েছে,নতুন সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী তানজিন তিশার উল্লেখযোগ্য কাজ 'অবুঝ দিনের গল্প- ২' ও ভুল এই শহরের মধ্যবিত্তদের ই ছিল। এছাড়া অন্যান্য অভিনেত্রীদের মধ্যে মৌটুসী বিশ্বাস (আড়াই মন স্বপ্ন), শবনম ফারিয়া (ফ্যামিলি ক্রাইসিস), সাবিলা নূর (হোয়াই!), সাফা কবির (শেষটা সবাই জানে), সুনেরাহ বিনতে কামাল (তোমার পাশে হাঁটতে দিও), অপর্ণা ঘোষ(প্রেশার কুকার, মানুষ গুলো অন্যরকম), পায়েল (অবুঝ মন), ভাবনা (টু- লেট) অন্যতম।