জীবননাশক পণ্যের বিজ্ঞাপন করে যে তারকারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেন, প্রতারিত করেন, সেসব তারকার শাস্তির দাবি করা হলে, সে দাবি কি খুব অমূলক হবে? তারকাদের কি উচিত না পণ্য নিয়ে সামান্য হলেও গবেষণা করে এরপর প্রমোশনে আসা? তারকাদের সামান্য আশ্বাস যেখানে তৈরী করে বড়সড় তফাত, সেখানে টাকার লোভে এরকম দায়সারা আচরণ তাদের কাছ থেকে কতটুকু প্রত্যাশিত? 

ধরা যাক, কোনো একজন তারকা বিশেষ একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন করলেন। প্রিয় তারকাকে বিশেষ এ পণ্যের প্রচারণা করতে দেখে অবধারিতভাবে অনেকেই সে পণ্যটি কিনলেন। এবং এর কিছুদিন পরেই জানা গেলো, বিশেষ এ পণ্যটির গুণগতমানে সমস্যা আছে। স্বাস্থ্যঝুঁকিও আছে। এরকম মারাত্মক পরিস্থিতিতে যদি দাবি ওঠে-  ক্ষতিকর প্রোডাক্টের প্রমোশন করে এই তারকা যে মানুষকে বিভ্রান্ত করলেন, প্রতারিত করলেন, সেজন্যে তার শাস্তি হওয়া উচিত... তাহলে সে দাবি কি খুব অমূলক হবে? এই তারকার কি উচিত ছিলোনা পণ্যটি নিয়ে সামান্য একটু গবেষণা করে এরপর প্রমোশনে আসা? যেহেতু তিনি পাবলিক ফিগার, পাবলিক ডোমেইন নিয়ে ভাবার কি কোনোই দায় নেই তার? তার সামান্য আশ্বাস যেখানে তৈরী করে বড়সড় তফাত, সেখানে এরকম দায়সারা আচরণ তার থেকে কতটুকু প্রত্যাশিত? 

ক্ষতিকর পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্যে তারকাকে দায়ী করা যাবে কি যাবেনা, এ প্রশ্নের নানারকম উত্তর হয়। নানা ঘরানার উত্তর হয়। যেহেতু, যেকোনো প্রোডাক্টের প্রমোশনে একজন সুপরিচিত তারকাকে নেয়ার অন্যতম উদ্দেশ্যই হচ্ছে, সেই প্রোডাক্টের ক্রেডিবিলিটি বাড়ানো, সেক্ষেত্রে পণ্যটি সম্পর্কে না জেনে টাকার বিনিময়ে 'মিথ্যে কিছু গালগপ্প' শুনিয়ে দেয় যে তারকারা, তাদের দায়ী করাই উচিত, এমনটাই মতামত অনেকের। তাছাড়া, প্রোডাক্ট কিংবা ব্রাণ্ড প্রমোশনের জন্যে তারকারা মোটা অ্যামাউন্টের টাকা নিচ্ছে, মানে দাঁড়াচ্ছে, টেকনিক্যালি, তারা কিন্তু বিশেষ সে ব্রান্ডেরই পার্ট হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে, বিশেষ ব্রাণ্ড যখন গুণগতমান বিবেচনায় সমালোচনায় পড়বে, সেক্ষেত্রে তারকার দায় যে মোটেও কম না, এটাও অনেকের মতামত। যদিও ভিন্নমতও আছে। যে ভিন্নমতের দাবী, বিজ্ঞাপন একজন তারকার প্রফেশনাল লায়াবিলিটি। সেই বিজ্ঞাপন করতে গিয়ে প্রোডাক্টের ভালোমন্দও যাচাই-বাছাই করতে হবে তাকে, এটা আসলে বাড়াবাড়ি। যদিও এ যুক্তি খুব একটা ধোপে টেকেনা। প্রশ্ন আসেই- আমি দায়িত্ব নিয়ে যে পণ্যের গুণগান করছি, সে পণ্যের ভালোমন্দ নিয়ে আমি নিজেই জানবো না কেন?

ঠিক এ জায়গা থেকেই চলে আসা যাক এক ঘটনায়। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, অজয় দেবগন, গোবিন্দ, রনবীর সিং, টাইগার শ্রফ এর মত তারকারা যে 'পান মশলা' ফ্রাঞ্চাইজির কুশীলব, গুজব উঠেছে, সে 'পান-মশলা' ফ্রাঞ্চাইজির ছত্রছায়ায় সম্প্রতি নাম লিখিয়েছেন অক্ষয় কুমারও। বলাবাহুল্য, এই গুজব চাউর হওয়ার পরে শুরু হয়েছে সমালোচনাও। সমালোচনার কারণও আছে। 'পান-মশলা'র সাথে যে তামাক দেয়া হয়, সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এতটাই ক্ষতিকর, ক্ষেত্রবিশেষে ক্যান্সারের জীবানুও বহন করে তা। এবং অক্ষয় কুমারই বেশ কিছু বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- 

বলিউড সুপারস্টারদের এরকম 'তামাকজাত পণ্য'র প্রমোশন করা উচিত না। মোরাল গ্রাউন্ড বিবেচনাতেই সরে আসা উচিত এমন প্রমোশন থেকে।

আশ্চর্যের বিষয় এটাই, ক্ষতিকর প্রোডাক্টের বিপরীতে প্রতিবাদ করা মানুষটিই সময়ের ফেরে হাত মিলিয়েছেন এই প্রোডাক্টের প্রমোশনে। এবং এরকম 'ডাবল স্টান্ডার্ড আচরণ' এর জন্যেই মানুষ মূলত একহাত নিচ্ছে তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে মিম-ট্রোল-রোস্টিং এর রীতিমতো মহোৎসবই শুরু হয়েছে গত কয়েক ঘন্টায়। 

তবে আজকের লেখা যেহেতু অক্ষয় কুমারকে নিয়ে না, তাই তার দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে গুরুত্ব দিই 'পান মশলা' ব্রাণ্ড এর উপরে। প্রথমেই যেটা জানা দরকার- ভারতে 'পান মশলা'র ইন্ডাস্ট্রিটা বেশ বড়। কোটি কোটি রূপির ইন্ডাস্ট্রি এটা। আরএমডি পানমশলা, রজনীগন্ধা পানমশলা, বাবা সুপারি-এলাচি, বিমলা পানমশলা... নানা ব্রাণ্ড। এবং প্রতিটি ব্রাণ্ডের পেছনেই বড় বড় বিজনেস টাইকুনদের কলকাঠি। এক কোম্পানির সাথে আরেক কোম্পানি পাল্লা দেয়ার জন্যে সুপারস্টারদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে নিয়ে আসে৷ আইপিএল থেকে বহুজাতিক সংস্থার গ্রাণ্ড ইভেন্ট... প্রমোশনে বাদ যায়না কোনোকিছুই। যদিও কোম্পানিগুলোর অ্যাগ্রেসিভ প্রমোশনাল স্ট্রাটেজি নিয়ে বলার কিছু নেই, তবুও প্রশ্ন আসে অন্যখানে-  'পান মশলা'র মত ছোটখাটো এক পণ্যের প্রচারের জন্যে সব স্টারই কেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে? এর পেছনে কারণও আছে একাধিক। প্রথমত- মোটা অঙ্কের অর্থের লোভ। দ্বিতীয়ত- গোটা ভারতেই যেহেতু তারকার চেহারা সম্বলিত এই প্রমোশনাল বিলবোর্ড-পোস্টার-প্রোডাক্ট যাবে, সেহেতু ফ্যানবেজকেও তৃণমূল পর্যায়ে এক্সটেন্ড করার বাসনা। তৃতীয়ত- প্রতিযোগিতা৷ ওই সুপারস্টার করছে এই বিজ্ঞাপন, আমি কেন করছি না? অগত্যা, লড়াইয়ে সামিল সবাই। বিজ্ঞাপনের ইঁদুর-দৌড় শুরু। 

যে ইঁদুর-দৌড়ে সম্প্রতি সামিল হয়েছেন অক্ষয় কুমারও

যদিও বিজ্ঞাপনে যুক্ত হওয়া কিংবা কোনো পণ্যের ব্রাণ্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়া দোষের কিছু না। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। সেটাই এখন বলি। একবার যেমন জানা গেলো, পান-মশলার সাথে যে তামাক মেশানো হয়, তা স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর। ক্যান্সারও হতে পারে এ তামাক থেকে। বেশ আলোড়ন উঠলো তখন। ল্যাবে বিস্তর পরীক্ষানিরীক্ষা করা হলো। জানা গেলো, ক্ষতিকর তামাক ছাড়াও আরো কিছু বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে বাজারের অধিকাংশ পান মশলায়। তাৎক্ষণিক আইন করা হলো। ২০১১ সাল থেকে ভারতের সব রাজ্যের সরকার 'পান মশলা'র সাথে তামাক মেশানো, তামাক মেশানো পান-মশলার বাজারজাতকরণ এবং প্রমোশন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করলো। এবং মূল খেলাটি শুরু হলো তখনই। 

বলা হয়ে থাকে, মানুষ আইন জানে মূলত আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করার জন্যে। এখানেও হলো ঠিক তাই। আইনে বলা আছে- পান মশলা'র সাথে তামাক মেশানো যাবে না। পান-মশলা'র ব্রাণ্ডগুলো তা মেনেও নিলো। বিপরীতে তারা করলো অভিনব এক কাজ। তারা তামাক ছাড়া পান-মশলা আলাদা বিক্রি শুরু করলো। সাথে একটা প্যাকেটে তামাকও আলাদা বিক্রি শুরু করলো। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দুটি প্যাকেটের রঙ, ব্রান্ড, ট্যাগলাইন সব রাখা হলো হুবহু একই রকম। যেন যমজ ভাইবোন! ফলশ্রুতিতে, মানুষজন দোকানে গিয়ে বিভ্রান্ত হলো। তারা 'পান মশলা' আলাদা কিনে, তামাকও আলাদা কিনতে লাগলো। অর্থাৎ, পান-মশলা কোম্পানি তামাকও বেচলো, পান-মশলাও বেচলো। তাও আইনিভাবে। সাপও মরলো, অক্ষত রইলো লাঠিও। 

'পান মশলা'র কুশীলবেরা! 

এবার একটি বিশেষ টার্মের সাথে পরিচয় করাই। 'সারোগেট অ্যাডভারটাইজিং।' অর্থাৎ, সোজা বাংলায়- দেখাবো একটা পণ্য, বোঝাবো অন্যকিছু৷ যতদূর জানা যায়- 'সারোগেট অ্যাডভারটাইজিং' প্রথম শুরু হয়েছিলো ব্রিটেনে। তখন ব্রিটেনের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচুর মদের বিজ্ঞাপন দেখানো হতো। আর পুরুষেরা এসব বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট হতেন ঢের। ঘরের স্ত্রী'রা ভাবলেন, এই বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে। তারা তখন রাস্তায় নামলেন। প্রতিবাদ শুরু করলেন। প্রতিবাদের ফলশ্রুতিতেই, কোম্পানিগুলো সরাসরি মদের বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করলো। বদলে, তারা এমন সব বিজ্ঞাপন দেখাতে লাগলো, যেখানে ব্রান্ড সেম, লোগো সেম, সব সেম। শুধু প্রোডাক্ট ভিন্ন। অর্থাৎ ক্যামোফ্লেজ। ছদ্মবেশ।

একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝাই- 'রয়েল স্ট্যাগ' ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় হুইস্ক্রি ব্রান্ড৷ যেহেতু ভারতের মিডিয়ায় সরাসরি মদের বিজ্ঞাপন করা যায় না, তাই এই ব্রাণ্ড 'সারোগেট অ্যাডভারটাইজিং' শুরু করলো। 'রয়েল স্ট্যাগ মিউজিক' এর মাধ্যমে মিউজিক ভিডিও'র প্রমোশন করা হলো। 'রয়েল স্টাগ স্পোর্টস' এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্পোর্টস গিয়ার বিক্রি করা হলো। এবং 'রয়েল স্টাগ মুভিজ' এর মাধ্যমে হলিউডি সিনেমার সম্প্রচার করা হলো সিনেমাহলে। এবার, মজার বিষয় এটাই, তারা এসব করলো শুধুমাত্র একটা উদ্দেশ্যেই। যাতে করে তাদের 'হুইস্কি'র নামটা মানুষের মাথায় থাকে। 'রয়েল স্ট্যাগ' ব্রান্ড যাতে মদ্যপায়ীরা ভুলে না যায় সেজন্যে আইপিএল থেকে শুরু করে মেগা ইভেন্ট লঞ্চের আয়োজনেও থাকলো তাদের অংশগ্রহণ। অর্থাৎ, তারা দেখালো অন্যকিছু, কিন্তু ভেতরে ভেতরে করলো তাদের পানীয়ের প্রচারণাই। মূলত, এটাই সারোগেট অ্যাডভারটাইজিং। 

ক্রিকেট দলের জার্সিতেও রয়েল স্ট্যাগ! 

পরবর্তীতে, ঠিক এই কাজ শুরু করে 'পান মশলা'র কোম্পানিগুলোও। তাদের বিজ্ঞাপনে যখন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সালমান খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সাইফ আলী খান হাতে 'পান মশলা'র প্যাকেট নিয়ে বিস্তর কারিকুরি করলো, সেখানে খুব সূক্ষ্মভাবেই মানুষের মনে 'পান মশলা'র জন্যে কিউরিওসিটি বাড়িয়ে দেয়া হতে লাগলো। অথচ, মজার বিষয় এটাই, এই সেলিব্রেটিরা কিন্তু 'পান মশলা' কিংবা তামাকের বিজ্ঞাপন করছেন না, তারা মূলত একই ব্রাণ্ডের এলাচি, সুপুরি কিংবা নিষ্পাপ অন্যকিছুরই ব্রান্ডিং করছেন! কিন্তু প্রতিটি প্রোডাক্টের কালার, সাইজ, ব্রান্ডিং, ডিজাইন... হুবহু একই রকম হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষজন আলাদা করতে পারছে না, ফলাফলে বিভ্রান্ত হচ্ছে। 'এলাচি'র বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট হয়ে তারা 'পান মশলা'র প্যাকেট কিনছে, সাথে মেশাচ্ছে তামাক। ক্ষতি যা হওয়ার, সেটা হচ্ছেই। এটা তারকারাও জানেন। তবুও জেনেবুঝেই তারা করে যাচ্ছেন প্রতারণা। 

 'সারোগেট অ্যাডভারটাইজিং' এর নামে এই যে ধাপ্পাবাজি, তা বুঝতে পেরে, ভারতের সুপ্রিমকোর্ট,  কিছু কোম্পানির বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে ব্যানও করেছিলো। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। সে কোম্পানিরা বহাল তবিয়তে আবারও ফিরেছে ফ্রন্টলাইনে। সুপ্রিমকোর্ট, তারকাদেরও অনুরোধ করেছিলো, এসব বিজ্ঞাপনে যুক্ত না হওয়ার জন্যে। কোনো তারকাই গা করেনি এই অনুরোধে! অমিতাভ বচ্চন যদিও পরে প্রকাশ্য-ঘোষণা দিয়ে সরে এসেছিলেন 'পান মশলা'র বিজ্ঞাপন থেকে, কিন্তু এখনো টিভি খুললে তার বিজ্ঞাপন দেখা যায়! অর্থাৎ, 'মোর‍্যাল গ্রাউন্ড' এ নেই কেউই। সবাই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত৷ যদি আইন একটু কড়া হয়, যদি আদালত একটু অনমনীয় মানসিকতার প্রতিভূ হয়, তাহলে সামনে হয়তো কেউ কেউ শুধরোবে। কিন্তু, তার আগে যে এ অন্যায় গিমিক চলতেই থাকবে, সেটাও একপ্রকার নিশ্চিত।

অবাক লাগে এটাই, যেসব তারকাকে সাধারণ মানুষজন মোটামুটি দেবতার দৃষ্টিতে দেখেন, সেসব তারকাই অর্থপ্রাপ্তিতে রূপান্তরিত হন দাঁতালো দানবে। এমন সব পণ্যের প্রমোশন করতেও তারা দ্বিধাবোধ করেন না, যেসব পণ্য মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। জীবনকে দ্বিধাগ্রস্ত করে। এখন এ প্রশ্ন উঠতেই পারে, তারকাদের বিশ্বাস না করে নিজে নিজের মত যাচাই-বাছাই করে পণ্য কিনলেই তো হয়! কিন্তু, সেটা করলেও দায় এড়াতে পারেন না তারকারা। 'স্পাইডার-ম্যান' এ যেমন আমরা শুনি- With Great Power, Comes Great Responsibility, সেরকম এই তারকাদেরও সমাজের প্রতি, সাধারণ মানুষের প্রতি কিছু দায়দায়িত্ব থেকেই যায়। সেসব দায় উপেক্ষা করে, সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি বানিয়ে যদি নিয়মিত শঠতা, প্রবঞ্চনা করা হয়, সেটা আসলে দিনশেষে চকচকে তারকাদের ক্লেদাক্ত অবয়বকেই স্পষ্ট করে। ঘৃণা বাড়ায়। বাড়ায় অবিশ্বাস। পাশাপাশি বাড়ায়, এদেরকে বিশ্বাসজনিত অনুশোচনাও! 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা