বরাবরের মতো কাছে আসার গল্প তো ছিলোই, পাশাপাশি প্রশংসা করার মতো বেশকিছু কন্টেন্ট রিলিজ পেয়েছে এই উৎসবে। এসেছে গড়পড়তা অনেক কন্টেন্টও, কিছু আবার উপহার দিয়েছে হতাশা। সব মিলিয়ে ছোটপর্দায় এবারের ভালোবাসা দিবসটা কেমন গেল? রিলিজ পাওয়া কোন কন্টেনগুলো আপনার জন্য 'মাস্ট ওয়াচ'?

ভালোবাসা দিবস মানেই নতুন নাটক আর শর্টফিল্মের হিড়িক। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বরাবরের মতো কাছে আসার গল্প তো ছিলোই, পাশাপাশি প্রশংসা করার মতো বেশকিছু কন্টেন্ট রিলিজ পেয়েছে এই উৎসবে। এসেছে গড়পড়তা অনেক কন্টেন্টও, এরমধ্যে কিছু উপহার দিয়েছে হতাশা। ভালোবাসা দিবসের অন্যতম সেরা কিছু নাটক এবং শর্টফিল্ম নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন। 

কে কখন কিভাবে

এই সময়ের অন্যতম দর্শক নন্দিত নির্মাতা শাফায়েত মনসুর রানা। আধুনিক সময়ের সম্পর্কের নানান অধ্যায় নিয়ে 'কে কখন কিভাবে' নাম দিয়ে স্মার্ট এই নির্মাতা বানিয়েছেন তিনটি শর্টফিল্ম। তিনটির মধ্যে প্রথমটি হলো 'হট প্যাটিস', এই গল্পে অভিনয় করেছেন সালমান মুক্তাদির ও সাবিলা নূর। হিউমার সম্পন্ন কমেডি নিয়ে একজন প্লে বয়ের একদিনের ঘটনা দেখানো হয়েছে। 

কে কখন কীভাবে

দ্বিতীয়টির নাম 'অপ্রকাশিত', এই সময়ের অনেক ছেলের বিবাহ বিমুখতা নিয়ে এই গল্প। কিন্তু চিরন্তন ভালোবাসা এই জেদের কাছে নস্যি। দারুণ অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও তাসনিয়া ফারিণ। তৃতীয় গল্পটির নাম 'ব্ল্যাক বক্স', আধুনিক যুগের সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে এই শর্টফিল্মে ইয়াশ রোহানের অভিনয় ছিল মনে রাখার মতো। বেশ ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন সামিরা খান মাহি। মাছরাঙা চ্যানেলে প্রচারিত এই সিরিজের তিনটি শর্টফিল্মই দারুণ উপভোগ্য, বেশ ভালো লেগেছে। 

রেডরাম

ভিকি জাহেদের ওয়েব ফিল্ম, অভিনয়ে আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী, মনোজ প্রামাণিক, সালহা খানম নাদিয়া। তাই স্বাভাবিকভাবেই এটি ছিল অধীর প্রতীক্ষিত। ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাওয়া এই ফিল্মের গল্প গড়ে উঠেছে সি আই ডি অফিসার রাশেদকে কেন্দ্র করে, বন্ধুর খুনের ঘটনায় জড়িয়ে যায় তার জীবন। চিত্রনাট্য একটু ধীরগতির হলেও ভিকি জাহেদ বেশ ভালোভাবেই সমাপ্তি টেনেছেন, তৃপ্ত হওয়া যায়। অভিনয়ে সবাই যথাযথ, এছাড়া বিদ্রোহী দীপনের সিনেমাটোগ্রাফি, অর্পণের আবহ সঙ্গীত- সবগুলোই যোগ্য সঙ্গ দিয়েছে। 

তিতলির ফিরে আসা

শিহাব শাহীনের এই নাটকে আফরান নিশো ও মেহজাবীন ছিলেন ভাই-বোনের চরিত্রে। এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটির  এমন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা অবশ্যই বিস্ময়কর ব্যাপার। গল্পে দেখা যায়,ডিভোর্সের পর ভাইয়ের বাসায় ফিরে আসে তিতলী, বাকিরা সেটা  পছন্দ না করলেও তার ছোট দাদা তাকে সাপোর্ট দেয়। বেশ ভালো লেগেছে এই নাটকের শেষের অংশটুকু, অভিনয়ে দুজনই ভালো। 

এ দেখা না-ই বা হতো

রবি ঠাকুরের হঠাৎ দেখার মতোই এক প্রাক্তন জুটির দেখা রেস্টুরেন্টে। এক সময় তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল, তবে সেটা পরিণতি পায়নি। বহুদিন পর দুজনের দেখা, ভেসে উঠে সুখের দিনের স্মৃতিচারণ। পরিচিত গল্প হলেও মনিরুল ইসলাম রুবেলের চিত্রনাট্যে আশিকুর রহমানের নির্মাণে মন ছুঁয়ে যাওয়া একটি নাটকে পরিণত হয়েছে এটি, বিশেষ করে শেষটা সবাইকে ধাক্কা দিয়েছে। মনোজ প্রামাণিকের অভিনয় ছিল অন্যতম প্রাণ, সাফা কবির চলনসই। নাটকে ভালো লেগেছে কবিতার ব্যবহার। 

এ দেখা না-ই বা হতো

কাছে আসার গল্প 

ভালোবাসা দিবসের সবচেয়ে আগ্রহ জাগানিয়া সিরিজ, প্রতি বছর দর্শকরা প্রত্যাশায় থাকেন দর্শকদের পাঠানো গল্পে তিনটি শর্টফিল্ম দেখার। তবে এবার প্রত্যাশা মিটিয়েছে কম, গল্পের দিক থেকে পিছিয়ে ছিল সিরিজটি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে অমিতাভ রেজার 'ফাগুণ থেকে ফাগুণে', এই শর্টফিল্মে সুদীপ বিশ্বাস দীপ দারুণ করেছেন, সঙ্গে ছিলেন সাফা কবির৷ 

দ্বিতীয় গল্পটির নাম 'আর থেকো না দূরে', রাকা নওশিন নাওয়ারের নির্মানে এটাও মোটামুটি ভালো লেগেছে। সুনেরাহ বিনতে কামালের অভিনয় এগিয়ে নিয়েছে অনেকটাই, সঙ্গে ছিল ইরফান সাজ্জাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি। শেষেরটির নাম 'নাইস টু মিট ইউ', রাসেল সিকদারের নির্মানের এই গল্পের আয়োজন সুন্দর, অভিনয় করেছেন তামিম মৃধা ও টয়া। 

এছাড়া অন্যান্য নাটকের মধ্যে পার্থক্য, উড়ছি তোমার প্রেমে, হৃদয় জুড়ে, ভালোবেসে যাই, ইয়ারমেট- এই নাটকগুলো এবারের ভ্যালেন্টাইনে আলোচিত হয়েছে।


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা